সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চকরিয়ায় ১১দিনেই করোনা জয় করলো পিতা-পুত্র

বলরাম দাশ অনুপম:
ঘরে বসে চিকিৎসা নিয়ে করোনাকে জয় করলেন কক্সবাজারের চকরিয়ার বাসিন্দা গার্মেন্টসের কর্মকর্তা সাঈদুল ইসলাম ও তার ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ বাবা আবদুল মতলব। তাদের বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কাচারিপাড়ায়।তাদের দুইজনকে শুক্রবার ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্টানিক ছাড়পত্র দেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শাহবাজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, হাসপাতালের আরএমওসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প:প কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শাহবাজ বলেন, গত এপ্রিলের ২৭ তারিখ চট্টগ্রামের এক গার্মেন্টেসের কর্মকর্তা সাঈদুল ইসলাম করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর ২৯এপ্রিল তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এতে সাঈদুলের বাবা আবদুল মতলবের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে ওই সময় তাদের মধ্যে কোন উপসর্গ ছিলোনা।

তিনি আরো বলেন, পরে আমরা তাদেরকে দুইজনকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। তাদের আমরা একটা মেডিকেল চার্ট দিয়েছিলাম। সাথে বেশ কয়েক রকমের ওষুধ দিয়েছিলাম। তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিলো। যে সময় যা প্রয়োজন সেভাবে চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের গত ৬ মে আবার করোনা টেষ্টা করানো হয়। ওই টেষ্টে তাদের রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। তাই আজ তাদেরকে হাসপাতালে ডেকে এনে আনুষ্টানিকভাবে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। করোনা জয় করা সাঈদুল বলেন, প্রথম যেদিন করোন পজিটিভ রিপোর্ট সেদিন খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম। ২৭ এপ্রিল আমার পজিটিভ রেজাল্ট আসার পর ২৯ এপ্রিল আমার বাবারও পজিটিভ রেজাল্ট আসে। হাসপাতালের ডাক্তার দের আশ্বাসে মনে শক্তি ফিরে আসে। তাই আমরা দুই জনে বাড়িতেই চিকিৎসা নেব বলে হাসপাতালের ডাক্তারদের জানাই। তারা সেভাবে আমাদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, হাসপাতাল যেভানে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে সেভাবে চলেছি। প্রচুর পরিমাণে গরম পানি, গরম পানির ভাপ নেয়া, বিভিন্ন ধরনের মসল্লা দিয়ে ঘনঘন রং চা খাওয়া সহ নানা ধরনের টুটকা গ্রহণ করেছি। আমরা বাপ-ছেলে দুইজনই ১১দিনের মাথাই সুস্থ হয়েছি। আল্লাহ আমাদের সহায় ছিলো।

আমরা সেজন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীসহ যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। অহেতুর কাউকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার জন্যও বলেন।

উল্লেখ্য, সাঈদুল ইসলাম চট্টগ্রামের একটি বিদেশী গার্মেন্টেসের কর্মকর্তা। গত এপ্রিল মাসের ২০-২১ তারিখের দিকে চট্টগ্রাম থেকে তিনি বাড়ি ফিরেন। এরপর তিনি নিজে থেকে ২৫এপ্রিল করোনা টেষ্ট করান। পরে ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION